Partha Chatterjee

জেল থেকে বেরিয়ে কেঁদে ফেললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হল জেলমুক্তি

একাধিক বার জামিনের আবেদন করেও ব্যর্থ হন পার্থ। আদালত প্রতিবারই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। অবশেষে গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানায়— শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া যেতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নয়। সেই শর্ত পূরণ হওয়াতেই অবশেষে মিলল মুক্তি।

গাড়িতে বসে কেঁদে ফেললেন পার্থ চট্টোপাধ‍্যায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৩৬

অবশেষে মুক্তি পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিনের কারাবাসের পর অবশেষে মঙ্গলবার মুক্তি পেলেন তিনি। হুইলচেয়ারে বসে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় কেঁদে ফেললেন তিনি। চোখে জল, মুখে নীল রঙের মাস্ক, গায়ে নীল-সাদা ফুলছাপ পাঞ্জাবি, এমন দৃশ্যে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তাঁর অনুগামীরা। 

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। সেই পর্ব শেষ হওয়ায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেলবন্দি থাকার আর প্রয়োজন নেই বলেই জানায় আদালত। এর পরই আলিপুরের সিবিআই আদালত থেকে তাঁর মুক্তির নির্দেশ যায় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছোয় নথি। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পান নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অভিযুক্ত তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে দুপুর ২টো ২০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে আসেন পার্থ।

এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় হুইল চেয়ারে করে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়া হয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীরকে গাড়িতে বসতে সাহায্য করা হয়। গায়ে নীল-সাদা ফুলছাপ পাঞ্জাবি পড়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁর মুখে ছিল নীল রঙের মাস্ক। তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন তাঁর অনুগামীরা। অনুগামীদের উচ্ছ্বাস দেখে গাড়িতে উঠতেই কেঁদে ফেলেন তিনি। সেখান থেকে সোজা নিজের বেহালার বাড়িতে যান তিনি। সেখানেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে হাজির ছিল ভিড়। বাড়িতে ঢুকতে তাঁকে আরতি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ক গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়। সেই সময় রাজ্য ব‍্যপক রাজনীতিক তরজা শুরু হয়।

এর পর একাধিক বার জামিনের আবেদন করেও ব্যর্থ হন পার্থ। আদালত প্রতিবারই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। অবশেষে গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানায়— শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া যেতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নয়। সেই শর্ত পূরণ হওয়াতেই অবশেষে মিলল মুক্তি।


Share