Kasba Murder

কসবার জুতো ব্যবসায়ীকে খুন করে বারুইপুরের খালে, চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ, পলাতক এক

গত ৩১ জানুয়ারি কবাসার নিজের জুতোর দোকানের বাইরে থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন সনু রাম নামে এক জুতো ব্যবসায়ী। তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বারুইপুরের খাল থেকে। সেই তদন্তে নেমে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই চার জনের মধ্যে এক জন নাবালক। মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক।

এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
-প্রতীকী ছবি
  • শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:০০

গত ৩১ জানুয়ারি থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সনু রাম বলে এক জুতো ব্যবসায়ী। বারুইপুরের খালে উদ্ধার হয়েছিল সেই যুবকের পচাগলা দেহ। সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এ বার সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মোট চার জনকে গ্রেফতার করল আনন্দপুর থানার পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন নাবালক বলে জানা গিয়েছে।? 

জানা গিয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি সনু রাম নামে এক যুবক নিজের দোকানের বাইরে থেকেই নিখোঁজ হয়েছিলেন। তিনি পেশায় জুতো ব্যবসায়ী। কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের সামনে তাঁর দোকান রয়েছে। ওঁর স্ত্রী রাত আটটার সময় সনুর সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয়। তিনি খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর সনু আর বাড়ি ফেরেনি। তাঁর স্ত্রী ক্রমাগত ফোন করলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।? 

এরপরই সনুর স্ত্রী আনন্দপুর থানায় দ্বারস্থ হন। প্রথমে পুলিশ একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে। পরে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে অনুপ মণ্ডলের নামে এক যুবকের খোঁজ পায়। জানা গিয়েছে, যে দিন তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন সেদিন অনুপ ও সনু একসঙ্গেই দোকান থেকে বেরিয়েছিলেন।? 

ধৃতরা হলেন, অনুপ মণ্ডল, খোকন বৈদ্য, প্রদীপ নয়াবান এবং এক নাবালক। তদন্তকারীরা জানতে পারেছেন, ধৃতরা সকলেই সকলকে চিনত। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, সনু রামের আকাউন্ট থেকে এক লক্ষ টাকা ইউপিআইয়ের মাধ্যমে অমিত নস্কর নামে এক যুকবের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। পুলিশের দাবি, অমিত জেরায় স্বীকার করেছে যে তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। সেই টাকা পাঠিয়েছে অনুপ মণ্ডল ও এক নাবালক। পরে অনুপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অনুপ মণ্ডলই সনুকে খুন করে বারুইপুরের একটি খালে ফেলে দিয়ে আসে। এই ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রঞ্জন চক্রবর্তী এখনও পলাতক। পুলিশের ধারণা এই রঞ্জনই গোটা পরিকল্পনা করেছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।? 


Share