Kasba Murder Case

অ্যাপে হোটেল বুকিং, ২ হাজারে এসকর্ট, তারপর গলা টিপে খুন! ধ্রুব–কমলের ফোন ফরেন্সিকে পাঠাবে পুলিশ

কসবার হোটেলে আদর্শ খুনে চাঞ্চল্য। অভিযোগ, ধ্রুব সাহাই গলা টিপে হত্যা করে টাকা লুট করেছে। ধৃতদের ফোন ফরেন্সিকে, হোটেলে পরিচয়পত্র নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে। লালবাজার শহরের সব হোটেলে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে।

মৃতের নাম আদর্শ লোসালকা
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৮

কসবার একটি হোটেলে খুন হন পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট যুবক আদর্শ লোসালকা। সেই ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। ধ্রুব সাহাই গলা টিপে আদর্শকে হত্যা করেছে। আদর্শ অচৈতন্য হয়ে পড়তেই তার পা বেঁধে ফেলা হয়। ধ্রুব মিত্র, কমল সাহা এবং নিহত আদর্শের মোবাইল ফোন ইতিমধ্যে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, এর আগে এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে ধৃতদের নাম জড়িয়েছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আদর্শ লোসালকা অ্যাপ ব্যবহার করে হোটেলটি বুক করেছিল। দু’ হাজার টাকার বিনিময়ে ‘এসকর্ট সার্ভিস’ নেওয়া হয়েছিল। হোটেল ভাড়ার দায়িত্ব ছিল আদর্শের ওপর। আদর্শকে খুন করে তাঁর সর্বস্ব লুঠ করে পালায় অভিযুক্তেরা। আদর্শের অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১১ হাজার টাকা। সেটাও তারা তুলে নেয়। পরে সেই টাকা ব্যবহার করে ধ্রুব ও কমল অ্যাপক্যাবে ঘোরাফেরা ও অন্যান্য খরচ সেরে নেয়।

তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ধ্রুব এবং কমল লিভইন সম্পর্কে ছিলেন। তাদের সম্পর্কে বাড়ির লোকেরাও ওয়াকিবহাল ছিলেন। কমল ভিডিয়ো এডিটিংয়ের কাজ করত। এই তথ্য মেলে কমলের মোবাইল পরীক্ষা করে।

হোটেল কনস্যুলেটে চেক–ইনের সময় আদর্শ ও ধ্রুব নিজের পরিচয়পত্র জমা দিলেও, তাদের সঙ্গে থাকা মহিলার কোনও পরিচয়পত্র হোটেলে রাখা হয়নি। কর্মীদের পাঠানো পরিচয়পত্রের ছবি পরে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, হোটেলে ওঠা প্রত্যেকের বৈধ পরিচয়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। ফলে সরকারি নির্দেশিকা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে গাফিলতি ধরা পড়লে হোটেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, অতিথি তিন ঘণ্টা থাকুক বা তিন দিন চেক–ইন ও চেক–আউট সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক। কোথাও কোনও শিথিলতা ছিল কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে শহরের সব হোটেলে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারা আসছে, কারা যাচ্ছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট সংগ্রহ করবে পুলিশ। নিরাপত্তা জোরদার করতেই এই বিশেষ নজরদারি অভিযান চালানো হবে।


Share