School Service Commission

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে জমা দিতে হবে ‘দাগি’দের তথ‍্য, পূর্ণাঙ্গ তালিকা জমা দিতে কমিশন নির্দেশ বিচারপতির অমৃতা সিংহের

আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে দাবি করেন, এসএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা এবং সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি রয়েছে। এ অভিযোগের পরেই হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

বিচারপতি অমৃতা সিংহ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৩৫

স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের নিয়োগে ঠিক কত জন শিক্ষাকর্মীকে ‘টেন্টেড’ বা ‘দাগি’ হিসেবেচিহ্নিত করা হয়েছে ৩,৫১২ নাকি ৭,২৯৩? সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের শুনানির পর এই সংখ্যাকেকেন্দ্র করে নতুন করে ধন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

হাইকোর্টে গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি প্রার্থীদের একাংশের আইনজীবীরা অভিযোগ তোলেন, এসএসসিসুপ্রিম কোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, সেখানে ৭ হাজার ২৯৩ জনকে ‘দাগি’ বলা হয়েছে। কিন্তু ৩নভেম্বর থেকে নতুন নিয়োগের আবেদন শুরুর আগে কমিশন যে তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে, সেখানে নাম রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৫১২ জনের।

বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্টভাবে‘টেন্টেড’দের বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে ৭ হাজার ২৯৩ জনের সম্পূর্ণ তথ্য- রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর, বাবার নাম, ঠিকানা তালিকা-সহ কমিশনকে আদালতে জমা দিতে হবে।

আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, র‍্যাঙ্ক জাম্প, আউট অফ প্যানেল নিয়োগ, ওএমআর কারচুপি-সহযেসব অনিয়ম ধরা পড়েছে, সেসব ‘দাগি’র নামও নতুন তালিকায় যুক্ত করতে হবে। তবে প্যানেলেরমেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের তালিকা জনসমক্ষে নয় শুধুমাত্র আদালতেজমা দিতে হবে। এদিকে রাজ্য সরকারের দাবি, ২০১৬ এর গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদের মোট নিয়োগসংখ্যা ৫ হাজার ৯১৭।

এসএসসি এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল ও ডিভিশন বেঞ্চ, এমনকি সুপ্রিম কোর্টেওএকাধিকবার হলফনামা দিয়েছে। তারপরও এখন নতুন করে ৭ হাজার ২৯৩ জনের তালিকা প্রকাশেরনির্দেশে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা। তাঁদের প্রশ্ন, যদি সত্যিই দুই তালিকার মধ্যে এমনফারাক থাকে, তবে রাজ্য বা এসএসসি–র আইনজীবীরা আদালতে তা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন না কেন?

আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে দাবি করেন, এসএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা এবংসুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি রয়েছে। এ অভিযোগের পরেইহাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, একজন ‘টেন্টেড’ও যেন নতুন পরীক্ষায়বসতে না পারে। তাই সম্পূর্ণ তালিকা জমা না পড়লে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে না। এই মামলার রায়গ্রুপ–সি ও গ্রুপ-ডি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবে।

৩ ডিসেম্বর ছিল আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। হাইকোর্ট জানায়, এ বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করবেনা। তবে কমিশন ওয়েবসাইটে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে আবেদনপত্র জমার সময়সীমা বাড়িয়ে ৮ডিসেম্বর করেছে।


Share