High Court

কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির দায় বাকিরা কেন নেবে! সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ, ৩২ হাজার প্রাথমিকের চাকরি বহাল রাখল হাই কোর্ট

২০১৪ সালের ‘টেট’-এর ভিত্তিতে ২০১৬ সালে ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। ওই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বেনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন।

হাই কোর্টের বাইরে চাকরিজীবীদের উচ্ছাস।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৩:৩৯

দীর্ঘ ন’বছরের লড়াই। অবশেষে স্বস্তি। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিকের শিক্ষকদের ৩২ হাজারের চাকরি বহাল রাখল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি বক্তব্য, সরকারের দুর্নীতির দায় সাধারন চাকরিজীবীদের নয়।

 বুধবার দুপুর ২টো ২৮ মিনিটে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এবং ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার রায় পড়া শুরু করেন। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ৩২ হাজার শিক্ষক এত দিন চাকরি করছেন। তাই তাঁদের পরিবারের কোথা ভেবে আদালত চাকরি বাতিল করছে না। তবে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে তা প্রমাণিত হয়েছে আদালতে। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পর্যদের দুর্নীতির দায় বাকি কেন নেবে! তারা নির্দোষ। যারা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে তাঁদের তাদের কিছু জনকে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাদের দায় বাকিদের নয়। যোগ‍্যদের কর্মদক্ষতার নিরিখে তাদের চাকরিতে বহাল করা হোক।

২০১৪ সালের ‘টেট’-এর ভিত্তিতে ২০১৬ সালে ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই সময়ে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের রায়ের উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তবে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ।

রাজ্য এবং মধ‍্যশিক্ষা পর্ষদ এর পরে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। চাকরিহারাদের একাংশও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। তাঁদের বক্তব্য ছিল, একক বেঞ্চ শুনানিতে সমস্ত পক্ষকে বক্তব্য রাখার সুয়োগ দেয়নি। সেই বছরে সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে সব পক্ষের বক্তব্য শুনতে নির্দেশ দিয়েছিল।

এর পরে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির বিস্তারিত শুনানি হয়। নভেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়। বুধবার এই মামলার রায়দান ছিল।


Share