Snatching Gang Arrested

বিহারের নম্বর প্লেট ব‍্যবাহার করে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ছিনতাই, রাতভর তল্লাশি অভিযানে চালিয়ে গ্রেফতার গোটা গ‍্যাং

জানা গিয়েছে, মহম্মদ রবিউল, সামাদ এবং গুরফান বেশ কিছু দিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মোবাইল ছিনতাই করত। মহম্মদ রবিউল জাকারিয়া স্ট্রিটের বাসিন্দা। সামাদের কলুটোলা স্ট্রিটের বাসিন্দা। গুরফানের বাড়ি বিহারের হলেও ইসলামিয়া হাসপাতালের কাছে গিরিবাবু লেনে থাকে।

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:১১

পরিবহণ ভবনের সামনে থেকে এক ক‍্যানসার আক্রান্ত ব‍্যাক্তির হাত থেকে মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। হেয়ার স্ট্রিট থানার দ্বারস্থ হন। তদন্তে নামে পুলিশ। গোটা শহরে তল্লাশি চালিয়ে ছিনতাই গ‍্যাংয়ের তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৩ ডিসেম্বর পরিবহণ ভবনের পাশে ম‍্যাঙ্গোলেনে এক প্রৌঢ় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বাইকে চেপে তিন দুষ্কৃতী ফোনটি নিয়ে চম্পট দেয়। প্রৌঢ় তৎক্ষণাৎ হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকায় সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেন। সূত্র মারফত খবর পেয়ে প্রথমে মহম্মদ রবিউল ওরফে লাল, সামাদ নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে মোবাইলও উদ্ধার করা হয়। এদেরকে ৬ ডিসেম্বর তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা গেলেও, যে বাইকে করে তারা ছিনতাই করেছিল, তা কোথায় রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। অন‍্যদিকে, ওই দিন রাতেই নিউ মার্কেট থানা এলাকায় ধর্মতলায় একটি বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। সেই দুর্ঘটনার পরিবহণ ভবনের সামনে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরেক আরেক অভিযুক্ত সেই বাইকে ছিল। পকেট থেকে একটি চুরির মোবাইল পড়ে যায়। পুলিশ মোবাইল ফোন সমেত হাতেনাতে তাকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়। পরে গুরফান নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয় হেয়ার থানার পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, মহম্মদ রবিউল, সামাদ এবং গুরফান বেশ কিছু দিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মোবাইল ছিনতাই করত। মহম্মদ রবিউল জাকারিয়া স্ট্রিটের বাসিন্দা। সামাদের কলুটোলা স্ট্রিটের বাসিন্দা। গুরফানের বাড়ি বিহারের হলেও ইসলামিয়া হাসপাতালের কাছে গিরিবাবু লেনে থাকে। জনা গিয়েছে, যে মোটরবাইকটি উদ্ধার করা হয়েছে তা বিহারের নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। নম্বর প্লেটটি আদেও আসল না নকল তা নিয়ে তদন্ত চলছে। ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হয়েছে। এই চক্রের পিছনে আরও কেউ আছে কি না তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। 


Share