SSC Case Filed in High Court

ভুলে ভরা ফাইনাল উত্তরপত্র! ১৫ হাজার চাকরিহারার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা, মামলা দায়ের হাইকোর্টে

একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ফের আদালতের দ্বারস্থ পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগ, শুক্রবার প্রকাশিত ফাইনাল মডেল উত্তরপত্রে প্রশ্ন ও উত্তরে রয়ে গেছে একাধিক ভুল। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন কয়েকজন প্রার্থী। কমিশনের দাবি, ওএমআর শিটে পেনের দাগে স্ক্যানিং ত্রুটি হয়েছে। নতুন নিয়োগ নিয়েও ফের জটিলতা বাড়ল।

এসএসসি নিয়োগের ফের আদালতের দারস্থ পরীক্ষার্থীরা।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ০৪:২২

শিক্ষক নিয়োগে ফের আদালতের দোরগোড়ায় পরীক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাতে প্রকাশিত একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফাইনাল মডেল অ্যানসার নিয়েই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন একদল পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, প্রশ্নপত্র এবং মডেল উত্তর— দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে একাধিক ভুল।

মামলাটি দায়ের করেছেন কয়েকজন আবেদনকারী। তাঁদের দাবি, গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার পর স্কুল সার্ভিস কমিশন যে প্রাথমিক মডেল অ্যানসার প্রকাশ করেছিল, তাতেও ভুল ধরা পড়ে। পরীক্ষার্থীদের আশা ছিল, ফাইনাল অ্যানসার সেই ভুল সংশোধন করা হবে। কিন্তু শুক্রবার প্রকাশিত চূড়ান্ত মডেল অ্যানসারেও একই ভুল রয়ে গিয়েছে।

পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভ, রাজ্য সরকারের অনীহায় বহু বছর শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিল। ২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ আইনি জটে প্রক্রিয়া আটকে ছিল। অবশেষে প্রায় ন’বছর পরে যখন নতুন পরীক্ষা নেওয়া হলো, তখনও ভুলে ভরা উত্তরপত্রে তাঁরা হতাশ। তাঁদের দাবি, এই পরীক্ষার ফলের উপর নির্ভর করছে ১৫ হাজারেরও বেশি চাকরিহারার ভবিষ্যৎ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল, তারাও এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, লক্ষাধিক নতুন প্রার্থীও এই পরীক্ষায় বসেছিলেন।

সোমবার বহু পরীক্ষার্থী সল্টলেকে কমিশনের দফতরে হাজির হয়ে অভিযোগ জানান। কমিশনের সূত্রের ব্যাখ্যা, ওএমআর শিটে সঠিক উত্তর ছাড়াও পাশে পেনের কালি বা দাগ থাকলে স্ক্যানার তা ভুল উত্তর হিসেবে গণ্য করছে। ফলে এমন পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এ রাজ্যে মামলা নতুন নয়। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক— সব স্তরেই বারবার আইনি জট তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নতুন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও, তাতেও ফের মামলা হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে কমিশনের ভেতরেই।


Share