ED Raid on Passport Case

পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় নদিয়ার চাকদহ থেকে আটক তিন জন, বাইপাসের ধারেও চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান

পাসপোর্ট দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে আজাদ মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের যোগসূত্র মিলেছিল। অভিযোগ, আজ়াদ বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে থেকে গিয়েছিলেন। পরে তাঁর কাছ থেকে পাকিস্তানের নথিও পাওয়া যায়।

পাসপোর্ট জালিয়াতি মামলায় চাকদহে ইডির তল্লাশি অভিযান।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ০৪:০৯

পাসপোর্ট জালিয়াতির মামলায় নদিয়ার চাকদহ থেকে তিন জনকে আটক করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এ ছাড়াও, বাইপাসের ধারে পাসপোর্ট দফতরেরও যান ইডি আধিকারিকেরা। পাসপোর্ট দফতরের বাইরে একটি অনলাইন আবেদনকেন্দ্রেও তাঁরা  তল্লাশি অভিযান চালান।

সোমবার সকালেই নদিয়ার চাকদহের পরারি গ্রামে ইডি আধিকারিকেরা পৌঁছে যান। সেখানে বিপ্লব সরকার এবং তাঁর ভাই বিপুল সরকার এবং বাবা বিনন্দ সরকারের বাড়িতে যান। বিপ্লব পেশায় কাঠমিস্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। ইডি সুত্রের খবর, তদন্তকারীরা মনে করছেন, ভারতে বন্দি থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত দুই ভাই। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাবা এবং দুই ছেলেকেও আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। 

এর পাশাপাশি, সকালে বাইপাসের ধারেও একটি অনলাইন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে অভিযান চালায় তাঁরা। রুবির পাসপোর্ট অফিসেও যায় ইডির আধিকারিকেরা। ইডির সন্দেহ, পাসপোর্ট দফতরের বাইরেও এই দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে থাকতে পারে।

পাসপোর্ট দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে আজাদ মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের যোগসূত্র মিলেছিল। অভিযোগ, আজ়াদ বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে থেকে গিয়েছিলেন। পরে তাঁর কাছ থেকে পাকিস্তানের নথিও পাওয়া যায়। 

ইডি জানিয়েছিল, আজ়াদ কাঁচরাপাড়ার একটি ক‍্যাফে থেকে ১২-১৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়ো পাসপোর্ট বানানোর কাজ করতেন। কখনও কখনও ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকাও দাবি করা হত। পাসপোর্টের পাশাপাশি অন্যান্য নথি ও পরিচয়পত্র বানানোর কাজও করতেন তিনি। তাঁর মোবাইলেও এ সংক্রান্ত তথ‍্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভুয়ো নথি ব্যবহার করে জাল পাসপোর্ট বানানোর এই চক্রের ‘মিডলম‍্যান’ হিসাবে কাজ করতেন আজ়াদ। সেই আজ়াদের সূত্র ধরে পরে তাঁর সহযোগী, চাকদহের বাসিন্দা ইন্দু ভূষণকে গ্রেফতার করা হয়।


Share