Human Trafficking Case

নারী পাচার মামলায় সাত জায়গায় ইডির অভিযান, একাধিক প্রভাবশালী রেস্তোরাঁর মালিকের বাড়িতে, বাজেয়াপ্ত নথি

ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে তদন্তমূলক তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন ব্যবসায়ীকেই তলব করা হতে পারে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়েছে।

নারী পাচারের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তল্লাশি অভিযান।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ০১:৫৮

এ বার নারী পাচার মামলায় কলকাতা জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার সকাল থেকে শহরের জায়গায় সাতটি গভীর রাত পর্যন্ত একাধিক তল্লাশি অভিযান চালায়। ইডি সূত্রের খবর, তিন জন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী- জগজিৎ সিংহ, বিষ্ণু মুন্দ্রা ও আজমল সিদ্দিকির হোটেল, রেস্তোরাঁ, পানশালায় এবং বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলে।

ইডি সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে সল্টলেকের বিএইচ ব্লক-সহ কলকাতার একাধিক বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ও পানশালায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের দাবি, এই হোটেল ও পানশালাগুলির আড়ালে নারী পাচার চলছিল। নারী পাচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ এই ব‍্যবসায়ীদের অ‍্যাকাউন্টে ঢুকেছে। সেই টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বিভিন্ন ব‍্যবসায়। এ ছাড়াও, ওই তিন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যুক্ত একাধিক ফার্ম ও সংস্থার সঙ্গে বিপুল পরিমাণে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে তদন্তমূলক তল্লাশি চালানো হলেও প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই তিন ব্যবসায়ীকে তলব করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে দায়ের হওয়া একটি পুরনো এফআইআরের ভিত্তিতেই ইসিআইআর হয়েছে। সেই ইসিআইআর দায়ের করে ইডি তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। ওই মামলায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের আওতায় তদন্ত শুরু হয়েছিল। তারই সূত্র ধরে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে তল্লাশি চালানো হয়।

সল্টলেক, পার্কস্ট্রিট, নিউ টাউন ও মধ্য কলকাতার একাধিক নামী হোটেল ও পানশালায় তল্লাশি চলে। ইডির হাতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ডিজিটাল প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। ওই নথিগুলির যাচাই করে অর্থ লেনদেন ও পাচারচক্রের মূলসূত্র বের করার চেষ্টা চলছে।


Share