Sand Smuggling Scam

অবৈধ বালি পাচারের টাকা কোথায়? উত্তর খুঁজতে কলকাতা-সহ রাজ্যের আটটি ঠিকানায় চলছে তল্লাশি অভিযান

অভিষেকের বাড়িতে তল্লাশির সময় বালি পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি বা তথ্য মিলতে পারে বলে আশাবাদী ইডি আধিকারিকরা। ঠিক কী উদ্ধার হয়েছে বা বাড়ির সদস্যদের কাছ থেকে কোনও তথ্য পাওয়া গিয়েছে কি না, সে বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তাঁরা।

শর্ট স্ট্রিটে চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:২০

অবৈধ ভাবে বালি পাচারের টাকা কোথায় গিয়েছে, তা খুঁজতে সকাল থেকে মাঠে নেমে পড়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ রাজ্যের আটটি জায়গায় ইডির তল্লাশি অভিযান চলছে। বালি পাচার মামলার তদন্তে ইডি আধিকারিকদের একটি দল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে এক ব‍্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে।

ইডি সূত্রের খবর, ব্যবসায়ীর নাম অভিষেক পাত্র, ওরফে ‘বিল্টু’। বেশ কয়েক বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বালি তোলার জন্য অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এর পাশাপাশি জিডি মাইনিং সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে বলেও ইডির সূত্র দাবি করেছে। সোমবার সকালে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, অভিষেক এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছেন। তাঁর বাবা ক্যানসার আক্রান্ত। বাবার চিকিৎসার জন্য অভিষেক কলকাতায় রয়েছেন। ফলত তদন্তকারীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি।

গত ৬ নভেম্বর জিডি মাইনিং সংস্থার মালিক অরুণ শ্রফকে গ্রফতার করে ইডি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, খাদান থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি বালি উত্তোলন করা হয়েছে। সেই বালি পাচার করে যে অতিরিক্ত টাকা তোলা হয়েছে, তা আমেরিকা, দুবাই এবং ব‍্যাঙ্ককে পাচার করা হয়েছে। এমনকি টাকা পৌঁছে গিয়েছে কিছু প্রভাবশালীর কাছেও। তার জন‍্য খেলা হয়েছে একাধিক ভুয়ো কোম্পানির এবং ব‍্যাঙ্ক অ‍্যাকাউন্ট। ইডি সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, এই বালি পাচার করতে সরকারি চালান জাল করা হয়েছে। সেই নকল চালান ব‍্যবহার করে কলকাতায় বালির ট্রাক পাঠানো হয়েছে বলেও জানতে পেরেছে ইডির তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন বিএলএলআরও এবং পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে করা বেশ কিছু এফআইআরের একত্রিত করে ইডি ইসিআইআর করে। তার ভিত্তিতেই ৮ অক্টোবর অভিযান চালানো হয়েছিল বলে জানা যায়। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বর্ধমান রেঞ্জের পুলিশ বেশ কয়েকটি বালির ট্রাক ধরে এফআইআর করেছিল। অভিযোগ ছিল, কলকাতাগামী বালির ট্রাক রাস্তায় চলতে জাল নথি ব্যবহার করছে। সেই সুত্রেই জিডি মাইনিং নামে একটি সংস্থার নাম সামনে আসে।

অভিষেকের বাড়িতে তল্লাশির সময় বালি পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি বা তথ্য মিলতে পারে বলে আশাবাদী ইডি আধিকারিকরা। ঠিক কী উদ্ধার হয়েছে বা বাড়ির সদস্যদের কাছ থেকে কোনও তথ্য পাওয়া গিয়েছে কি না, সে বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তাঁরা।

কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, শর্ট স্ট্রিট এবং আমহার্স্ট স্ট্রিটে কয়েক জনের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে।


Share