Special Intensive Revision

এসআইআর শুনানিতে কড়া নজরদারি, ভোটার তালিকা সংশোধনে কেন্দ্রীয় মাইক্রো অবজার্ভার মোতায়েনের নির্দেশ কমিশনের

ভোটার তালিকার এসআইআর শুনানিতে কড়া নজরদারি শুরু। কেন্দ্রীয় গ্রুপ বি-স্তরের আধিকারিকদের মাইক্রো অবজার্ভার হিসেবে মোতায়েনের নির্দেশ কমিশনের। ৫৮ লক্ষ নাম বাদ পড়ায় শুনানিতে ডাকা হবে লক্ষ লক্ষ ভোটারকে।

(বাঁ দিকে) সিইও মনোজকুমার আগরওয়াল (ডান দিকে) বিশেষ রোল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্ত।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৫:১০

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার শুনানি পর্বে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সকালে কমিশনের নির্দেশে এই শুনানি পর্বের তদারকিতে কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের মাইক্রো অবজ়ার্ভার হিসেবে নিয়োগ করা হবে। মূলত কেন্দ্রের গ্রুপ ‘বি’ বা তার ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদার আধিকারিকরাই এই দায়িত্ব পাবেন।

জানা গিয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর মাইক্রো অবজ়ার্ভার নিয়োগের অনুমতি চেয়ে কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর। শুক্রবার সেই আবেদনের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা থেকে আধিকারিক নিয়োগ করা যাবে, পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরও এই কাজে যুক্ত করা হতে পারে। শুনানি পর্বে দায়িত্ব পালনের জন্য মাইক্রো অবজার্ভাররা ৩০ হাজার টাকা সাম্মানিক পাবেন।

মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের মূল কাজ হবে এসআইআর শুনানি পর্বে ইআরও এবং এইআরও কাজকর্মে নজর রাখা। ভোটার তালিকা সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত তালিকা তৈরিতে তাঁরা সহযোগিতা করবেন। তাঁরা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অধীনেই কাজ করবেন এবং সিইও দফতর থেকেই তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। শুনানির সময় এনুমারেশন ফর্ম, ভোটারদের জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র এবং উপস্থিত ভোটারদের নথি যাচাইয়ের দায়িত্বও তাঁদের ওপর থাকবে। পাশাপাশি ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি চিহ্নিত করা ও পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ করাও তাঁদের কাজের অন্তর্ভুক্ত। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকেরা এই কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর এনুমারেশন পর্ব শেষ হওয়ার পর ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। সেই তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি নাম বাদ পড়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই শুনানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই ভোটারদের কাছে শুনানির নোটিস পাঠানো শুরু হবে। প্রায় ৩০ লক্ষ ভোটারকে ‘নো ম্যাপিং’ তালিকায় রাখা হয়েছে, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে তাঁরা কোনও যোগসূত্র দেখাতে পারেননি। তাঁদের সকলকেই শুনানিতে হাজির হতে হবে। এ ছাড়া, কমিশনের নজরে আরও লক্ষাধিক ভোটারের তথ্য সন্দেহজনক বলে মনে হওয়ায় তাঁদেরও শুনানির জন্য ডাকা হবে।


Share