Anti National Activities at Jadavpur

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে দেশ বিরোধী স্লোগান! লেখা ‘আজাদ কাশ্মীর’, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের পুলিশের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের দেওয়ালে ভর্তি দেশ বিরোধী পোস্টার এবং স্লোগান। দেশ বিরোধী কার্যকলাপে উসকানি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী বাম সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পুলিশ এই নিয়ে সক্রিয় হতে চলেছে।

তথ্যভবনের সেই দেওয়াল।
এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
- নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ১২:০০

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গার দেওয়ালে লেখা রয়েছে দেশবিরোধী পোস্টার-স্লোগান। সেই লেখা চোখে পড়তেই তৎপর হল কলকাতা পুলিশ। এ বার স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং দেশবিরোধী কাজে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।? 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বাম এবং অতি বাম ছাত্র সংগঠনের দাপাদপি নতুন নয়। ওই চত্বরে এই ধরনের পোস্টার বা দেওয়াল লিখন বিচ্ছিন্নভাবে দেখতে পাওয়া যায়। এ বার সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই তৎপর হল প্রশাসন। জানা গিয়েছে, যাদবপুর থানার এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর গতকাল রাতে ক্যাম্পাস চত্বরের কর্তব্যরত অবস্থায় থাকাকালীন ‘তথ্যভবনে’ ভিতরে কিছু দেওয়াল লিখন দেখতে পান। সেই দফতরের একাধিক দেওয়ালে লেখা রয়েছে ‘আজাদ কাশ্মীর’ সহ একাধিক দেশবিরোধী স্লোগান। যেটা সম্পূর্ণ দেশবিরোধী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই লেখা গুলি লিখেছে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা।? 

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে প্যালেস্টাইনকে মুক্তির দাবিতে যেমন স্লোগান রয়েছে তেমনি লাদাখ, যোশিমঠ, হাঁসদেওকে চিনের সঙ্গে সংযুক্তি করার কথাও লেখা হয়েছে। এমনকি এ রাজ্যের দেউচা পাচামিকে পড়শি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করারও দাবি উঠেছে। এ সব বিতর্কিত দেওয়াল লিখন সামনে আসতেই সক্রিয় হল কলকাতা পুলিশ। গতকাল রাতেই তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর এবং দেশবিরোধী কাজকর্ম করার অভিযোগে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১৫২ এবং ধারা ৬১(২) -এ এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন এবং মজদুর ক্রান্তি পরিষদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে।? 

পুলিশের অনুমান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাঁরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মগজধোলাই করার কাজ করছে। যা পরবর্তীতে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। কে বা কারা ওই সংগঠনে প্রভাবশালী রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কোনও বৈদেশিক শক্তির প্রভাব আছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।? 


Share