High Court Ordered to Close the Hostel at JU

৪৮ ঘন্টার মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত হোস্টের গেট বন্ধ করতে হবে, ঢুকতে পারবে না কোনও বহিরাগত, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের

গত কয়েক মাস আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। জখম হয়েছিলেন মন্ত্রী। বিক্ষোভে দুই ছাত্রও জখম হয়।

কলকাতা হাই কোর্ট।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:০১

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত হোস্টেল বন্ধ করতে হবে। বিচারপতি সুজয় পাল এবং স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, পুজোর ছুটিতে বহিরাগতরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে না ঢুকতে পারে, তা নিশ্চিত করবে কর্তৃপক্ষ। তারা পারলে পুলিশের সাহায্য নিতে পারে।

হাই কোর্ট জানিয়েছে, দুর্গাপুজোর ছুটির পরে বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ‍্য সরকারের আধিকারিকেরা একসঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা-সহ যাবতীয় সমস্যা নিয়ে বৈঠক করবেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরা সংখ‍্যা বাড়ানো দাবি করেছিল শাসক থেকে বিরোধীরা। সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়েও ওই বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। পুজোর ছুটির পরে রিপোর্ট আকারে হাই কোর্টে জমা দিতে হবে। পুজোর ছুটির পরে হোস্টেলের তালা খোলা যাবে বলেই জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।

গত কয়েক মাস আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। জখম হয়েছিলেন মন্ত্রী। বিক্ষোভে দুই ছাত্রও জখম হয়। একজনের চোখে আঘাত লাগে। অপর জন পায়ে চোট পায়। এর পরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এর পরে বেশ কিছু দিন আগে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ। খুনের অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তখনও পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি করে শাসক দল তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব‍্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না।


Share