Leonel Messi

যুবভারতীকান্ডে গ্রেফতার আরও তিন যুবক, ভাঙচুর, অশান্তি ছড়ানো-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে, ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে মোট দশটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকারি কর্মীদের মারধর, সরকারি কর্মীকে জখম করা, গোলমাল পাকানোর মতো ধারা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, সম্পত্তি ভাঙচুর এবং অশান্তি পাকানোর অভিযোগের মামলাও দেওয়া হয়েছে।

স্টেডিয়াম থেকে ছোঁড়া হচ্ছে বাকেট চেয়ার।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৩:২৯

যুবভারতী স্টেডিয়ামে ভাঙচুরের ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে আরও তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম, বাসুদেব দাস, সঞ্জয় দাস এবং অভিজিৎ দাস। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

সোমবার সকালে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের নাম শুভ্রপ্রতিম দে এবং গৌরব বসু। তাঁদের নাগেরবাজার থানা এলাকার থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। যদিও পরে তিন জনকে কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। তাঁদের সবাইকেই বিধাননগর আদালতে হাজির করানো হবে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের সবাইকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে খবর।

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে মোট দশটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকারি কর্মীদের মারধর, সরকারি কর্মীকে জখম করা, গোলমাল পাকানোর মতো ধারা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, সম্পত্তি ভাঙচুর এবং অশান্তি পাকানোর অভিযোগের মামলাও দেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে অশান্তি ছড়ায়। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রিয় তারকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমর্থকেরা। কারণ, নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। যেটুকু সময় তিনি মাঠে ছিলেন, সেই সময়ও সমর্থকেরা ফুটবলের রাজপুত্রের দেখা পাননি। কারণ তাঁকে ঘিরে ছিল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী এবং তাঁদের সাগরেদরা। 

এর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম। বাকেট চেয়ার ভাঙচুর করে মাঠে ছোঁড়া হয়। স্টিলের ব‍্যারিকেড ভেঙে মাঠে নেমে পড়েন সমর্থকেরা। চলে তান্ডব। এমনকি কয়েক জন পুলিশকর্মীকে ধাক্কাধাক্কি করেন। অগ্নিসংযোগ করা হয় সোফায়। তার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে পৌঁছেছে। তা পরীক্ষা করে দেখেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। 


Share