Special Intensive Rivision

মতুয়া ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ অধীরের, এসআইআর জটিলতা, ভোট অনিয়ম ও মমতার অবস্থান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

মতুয়া সম্প্রদায়ের এসআইআর-সংক্রান্ত একাধিক জটিলতা ও অভিযোগের বিষয়ে সিইও দফতরে হাজির অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কী দাবি তাঁর?

অধীর রঞ্জন চৌধুরী
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৫:০৯

মতুয়া সম্প্রদায়ের এসআইআর-সংক্রান্ত একাধিক জটিলতা ও অভিযোগের বিষয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে হাজির হন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বৈঠকে তিনি জানান, বহু মতুয়া পরিবারের কাছে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও তাঁরা প্রশাসনিক সহায়তা পাচ্ছেন না। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করছে, ফলে সমস্যাগুলি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

অধীরবাবুর বক্তব্যের ভিত্তিতে সিইও জানান, এসআইআর সংক্রান্ত সমস্যাগুলি জেলা স্তরেই সমাধান করা সম্ভব। জেলা শাসক (ডিএম) চাইলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করে মতুয়া পরিবারগুলিকে সরাসরি সাহায্য করতে পারে। এতে স্থানীয় মানুষের ভয়ের পরিবেশও অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে কমিশন।

অধীর দাবি করেন, সিএএ করার পরেও বহু মতুয়া পরিবার সেই সুবিধা পাননি। বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলই মতুয়াদের ভোটে জেতে, কিন্তু বাস্তব সমস্যায় কেউ এগিয়ে আসছে না। তাঁর অভিযোগ,

এসআইআর মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে কমিশন। কেউ বলছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে—মাঝখানে এক অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অতীতে এনআরসি-কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা তৈরি হলেও পরে বিষয়টি নিয়ে বিজেপি বা তৃণমূল কেউই স্পষ্ট বার্তা দেয়নি। এই অবস্থায় মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি না করে সহায়তার হাত বাড়ানোই জরুরি বলে মত পোষণ করেন তিনি।

 

রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়েও আক্রমণ শানান অধীর। তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের কথা বললেও বাস্তবে বিজেপির বিরোধিতায় একাধিকবার পিছিয়ে গিয়েছেন। বিহারের নির্বাচন বা নিকাশ ইস্যুতেও তাঁর অবস্থান ছিল দ্ব্যর্থক।

 

ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়েও সরব হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে সমবায়—কোথাও সুষ্ঠুভাবে ভোট হয় না। ভোটের দিন লুঠ চলতেই থাকে। বিএলও-দের দিদির বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা নেই। এলাকায় কার্যত কোনও নিরপেক্ষ বিএলও নেই, অধিকাংশই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ।


Share