Netaji Nagar Murder

নেতাজিনগরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে পুড়িয়ে খুন, রায়গঞ্জ থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত

মৃতার নাম নমিতা বসাক। ১০ এপ্রিল তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। খুনের অভিযোগে রায়গঞ্জ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

নেতাজিনগরে তরুণীকে পুড়িয়ে খুন, গ্রেফতার এক।
এখন কলকাতা ডেস্ক, কলকাতা
-প্রতীকী ছবি।
  • শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০০

নেতাজিনগরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ। এই ঘটনায় বরাত জোরে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে সাত বছরের কিশোর। গত ১০ এপ্রিল শ্রী কলোনীতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। খুনের অভিযোগে ১১ এপ্রিল মৃতার স্বামী নেতাজিনগর থানায় এফআইআর দায়ের করেন। মূল অভিযুক্তকে রায়গঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।? 

জানা গিয়েছে, গত ১০ এপ্রিল দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ শ্রী কলোনি এলাকার বাসিন্দা এক নমিতা বসাক (১৯) নামে এক তরুণী অগ্নিদগ্ধ হন। জানান গিয়েছে, প্রতিবেশীরা কিছু পোড়ার গন্ধ পান। তাঁরাই খবর দেন নেতাজিনগর থানায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, ১২টা ৫০ মিনিটে নমিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর জঠোরে থাকা শিশুটিকেও বাঁচানো যায়নি।? 

লালবাজার জানিয়েছে, যে সময় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে সেই সময় মৃতার সঙ্গে ছিল তাঁরই সাত বছরের ভাই শিব বসাক। অভিযোগ, তাকেও পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। আহত অবস্থায় শিবকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলেই জানিয়েছে লালবাজার।? 

পুলিশ জানতে পেরেছে, নমিতা এক বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার পর থেকে মৃতার মামাবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর মায়ের বিবাদ চলছিল। পুলিশ এ-ও জানতে পেরেছে যে, কয়েক দিন আগেই মৃতার মায়ের সঙ্গে মৃতার দাদুর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ১০ এপ্রিল নমিতার দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। তারপর নমিতার স্বামী স্বপন দাস খুনের মামলা রুজু করে।? 

রুজু হওয়া মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ স্বপন বসাকে গ্রেফতার করেছে। সম্পর্কে সে নমিতার মায়ের দিক থেকে দাদু হন। তাঁকে গত ১৪ এপ্রিল রায়গঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিকের একটি দল। হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারাও ঘটনাস্থলে আসেন। তবে এই ঘটনার সঙ্গে খুনের সম্পর্ক কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। ধৃতকে তদন্তের স্বার্থে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক।? 


Share