Primary Teacher Scam

বুধবার ৩২ হাজার প্রাথমিকের চাকরি বাতিল মামলার রায়দান, কি হবে ভবিষ্যৎ? কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা

বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির বিস্তারিত শুনানি হয়। এ বার সেই মামলার রায়দানই হবে ৩ ডিসেম্বর। মামলার রায় কী আসে, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:৫৩

নভেম্বর মাসেই শুনানি শেষ হয়েছিল। আগামীকাল বুধবার ৩ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি সংক্রান্ত মামলায় রায়দান করবে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই রায়ের উপরে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত ২০২৩ সালের ১২ মে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশও দেওয়া হয়। সেই সময়ে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের রায়ের উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তবে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ।

রাজ্য এবং মধ‍্যশিক্ষা পর্ষদ এর পরে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। চাকরিহারাদের একাংশও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। তাঁদের বক্তব্য ছিল, একক বেঞ্চ শুনানিতে সমস্ত পক্ষকে বক্তব্য রাখার সুয়োগ দেয়নি। সেই বছরে সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে সব পক্ষের বক্তব্য শুনতে নির্দেশ দিয়েছিল। 

এর পরে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির বিস্তারিত শুনানি হয়। এ বার সেই মামলার রায়দানই হবে ৩ ডিসেম্বর। মামলার রায় কী আসে, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।


Share