ED Raid on Job Scam

পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তরাতলার ব‍্যবসায়ীর কাছ থেকে উদ্ধার ৩ কোটি টাকা! প্রভাবশালীদের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রের

এই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অয়ন শীল-সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধীরে ধীরে রহস্যের শিকড়ের কাছাকাছি পৌঁছোতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রে ধরে চলতি মাসের শুরুতেই কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় ইডির অফিসারেরা।

তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৩৭

পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ফের সক্রিয় হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ‍্যের কলকাতার তারাতলা-সহ সাত জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তিন কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, এই সংস্থার মাধ্যমে পুরোনিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতার তারাতলা, লেকটাউন-সহ সাতটি জায়গায় পুরোনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। তারাতলায় রেডিয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ নামে এক সংস্থার অফিস এবং মালিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ইডি সূত্রের খবর, ওই সংস্থার কর্ণধার গৌতম ঢনঢনিয়া এবং বিবেক ঢনঢনিয়া। তারা সম্পর্কে দুই ভাই। তাদের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। এ ছাড়াও, গারোদিয়া সিকিউরিটিস্, জিৎ কনস্ট্রাকশন এবং কনসালট্যান্ট সংস্থার অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

তদন্তকারী আধিকারিকদের সন্দেহ, রেডিয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। তদন্তকারী সূত্রে এ-ও দাবি, এর সঙ্গে প্রভাবশালী যোগও রয়েছে। কী ভাবে করা হয়েছে, কাদের কাদের অ‍্যাকাউন্টে নিয়োগ দুর্নীতির এই বিপুল অঙ্কের টাকা জমা হয়েছে, সেটাই তদন্ত করে দেখছেন ইডির তদন্তকারীরা। 

জানা গিয়েছে, তারাতলার রেডিয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ সংস্থার কর্ণধার গৌতম ঢনঢনিয়া এবং বিবেক ঢনঢনিয়ার বাড়ি এবং অফিস থেকে ১০০০ হাজার পাতার বেশি নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, তাতে মিলেছে কিছু সন্দেহজনক বঙ্কের লেনদেন। এর জন্য একটি বিশেষ অডিট দল গঠনও করেছে ইডি। তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। এর পরে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কিন্তু তার আগে এই গৌতম আর বিবেককে ডেকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

এই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অয়ন শীল-সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধীরে ধীরে রহস্যের শিকড়ের কাছাকাছি পৌঁছোতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রে ধরে চলতি মাসের শুরুতেই কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় ইডির অফিসারেরা। এমনকি মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের অফিস এবং তাঁর ছেলের রেস্তরাঁতেও অভিযান চলে। দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই অভিযান। 

মন্ত্রী জিত বসু বলেন, “প্রত্যেকবার ভোটের আগেই ওরা এটা করে। বাড়ি, অফিস সব জায়গায় যায়। আগেও রেড করে কিছু পায়নি। ভোটের আগে চাপ তৈরি করতে এ সব করে।” সেই রেশ কাটতে না কাটতে পুর নিয়োগ মামলায় ফের তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।


Share