DRI Seized Huge Quantities of Drugs

কলকাতায় মাদকপাচার চক্রের হদিশ, যাদবপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণে মাদক-সহ নগদ টাকা, দশ অভিযুক্ত গ্রেফতার

ডিআরআইয়ের গোয়েন্দারা যাদবপুরের বিজয়গড়ের দুটি যাত্রার এবং কলকাতা বিমানবন্দরে অভিযান চালায়। যাদবপুর থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা, কোকেন, হাইড্রোফনিক উইড উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকে লক্ষাধিক টাকা নগদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আদালতে পেশ করা হচ্ছে অভিযুক্তদের।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৩০

বেঙ্গালুরুর পরে কলকাতায় বড়সড় মাদকপাচার চক্রের হদিশ পেল গোয়েন্দারা। যাদবপুর এবং কলকাতা বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এর সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ২২ লক্ষ টাকা নগদ। মাদকপাচারের অভিযোগে দশ জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিআরআই। তার মধ্যে তিনজন মহিলা রয়েছে। শনিবার দশ অভিযুক্তকে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ডিআরআইয়ের আধিকারিকেরা যাদবপুরের দুটি যায়গায় এবং কলকাতা বিমানবন্দরে অভিযান চালান। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সুত্রের খবর, এই চক্রের মূল পাণ্ডা তৌসিফ আহমেদ। সে যাদবপুর এলাকার বিজয়গড়ের একটি ফ্ল্যাটে থাকত। অপরদিকে সায়ন্তন দত্ত বলে একজনের বাড়িতেও গোয়েন্দারা যান। এ দিন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানিয়েছেন, তৌসিফ আহমেদ এবং সায়ন্তন দত্তের বাড়ি থেকে ৩২ কেজি গাঁজা, ৩৪৫ গ্রাম কোকেন এবং বেশ কিছু হাইড্রোফোনিক উইড উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও মোট ২২ লক্ষ টাকা নগদ দু’জনের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সুত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, যাদবপুরের ওই দু’জনের থেকে ওয়াজিদ আলি মন্ডলের খোঁজ মেলে। তাঁরা জানতে পারে, ওয়াজিদ ব‍্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় ফিরছে। এর পরে পাতা হয় ফাঁদ। জানা গিয়েছে, ব‍্যাঙ্কক থেকে যখন আসছিল, তখন ওয়াজিদের সঙ্গে তিনজন মহিলার সঙ্গে ছিল। অভিযোগ, তাঁরা ব‍্যঙ্কক থেকে মাদক নিয়ে আসছিল। তাঁদেরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন মহিলার পরিচয় কি, স্পষ্ট নয়। সুত্রের খবর, তাঁরা রাজারহাট এবং নিউটাউন এলাকাতেই থাকেন।

আদালত সুত্রের খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজন মালদহের বাসিন্দা। একজন তিলজলা এবং অন্যজন উত্তর ২৪ পরগনার মধ‍্যমগ্রামের বাসিন্দা। দুই মহিলার বাড়ি পঞ্জাব এবং জলন্ধরে। দশম অভিযুক্তের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে।

শনিবার তাঁদের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতে জানান, এই গ্রেফতারির কোনও ভিত্তি নেই। অবৈধভাবে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয় গ্রেফতারির পরে পরিবারের সদস্যদেরকেও জানায়নি।

যদিও এই ডিআরআইয়ের আইনজীবি প্রতিম ভট্টাচার্য আদালতে জানান, “কাস্টমস-ডিআরআই এবং পুলিশের এক নয়। কারন রয়েছে তাই গ্রেফতার করার হয়েছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে মাদক মিলেছে। তদন্ত সবে প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।” দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে অভিযুক্তদের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত মাসের ২০ তারিখের বেঙ্গালুরুর সঙ্গলী রেল স্টেশন, ভোপাল থেকে যথাক্রমে ২৯ এবং ২৪ কেজি হাইড্রোফনিক উইড উদ্ধার করে। সেদিন রাতে বেঙ্গালুরুর একটি হোটেল থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার থেকে উদ্ধার হয় ১৭ কেজি হাইড্রোফনিক উইড। জানা যায়, ওই ব্যক্তি থাইল্যান্ড থেকে বেঙ্গালুরুতে আসছিল। এ বার সেই রকমের একটি চক্রের হদিশ মিলল কোলকাতায়।


Share