Weather Update

বেলা বাড়তেই উধাও শীতের আমেজ, ঠাণ্ডার দোসর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা

মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তর–পশ্চিম ভারতে তৈরি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্যই ঠান্ডা ও শুকনো বাতাসের প্রবাহ সাময়িক ভাবে থমকে গিয়েছে। তার ফলেই মধ্য ও পূর্ব ভারতের রাতের তাপমাত্রা আর কমছে না।

ভোরে ও রাতে শীতের অনুভূতি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:২৭

গত কয়েক দিনে শীত যে সম্ভাবনা শুরু হয়েছিল। তবে মাসের মাঝামাঝি জায়গায় এসে চলে গেলেও কনকনে শীতের দেখা নেই। ভোরে ও রাতে শীতের অনুভূতি হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা উধাও হয়ে যাচ্ছিল।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তর–পশ্চিম ভারতে তৈরি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্যই ঠান্ডা ও শুকনো বাতাসের প্রবাহ সাময়িক ভাবে থমকে গিয়েছে। তার ফলেই মধ্য ও পূর্ব ভারতের রাতের তাপমাত্রা আর কমছে না। এর পাশাপাশি দিনের বেলা সম্পূর্ণ বিপরীত দিক অর্থাৎ দক্ষিণ–পূর্ব দিক থেকে ঢুকছে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস। ‘উত্তুরে’ হাওয়ার ক্ষীণ স্রোত ওই পুবালি বাতাসকে আটকাতে পারছে না। তাই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলো থেকে শীতের আমেজ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।

আবহবিদরা জানাচ্ছেন, সামনের কয়েকদিন আবহাওয়ার এমনই অবস্থা চলবে। ঝঞ্ঝার প্রভাব পুরোপুরি কাটলে তবেই নতুন করে শীতের আমেজ পেতে শুরু করবে দক্ষিণবঙ্গ। দার্জিলিং ছাড়া আলিপুরদুয়ার (৯.১) ও কোচবিহারের (৯) মতো রাজ্যের উত্তরের জেলাগুলোর রাতের তাপমাত্রা শনিবার শেষ রাতে (ক্যালেন্ডার মতে রবিবার) সিঙ্গল ডিজিটে নেমে এলেও দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার তাপমাত্রাও রীতিমতো চড়া হতে শুরু করছে। রবিবার ভোরের দিকে মেঘের আস্তরণের জন্য দার্জিলিং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্পষ্ট দেখা যায়নি। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘ কেটে কাঞ্চনজঙ্ঘারর ঝকঝকে দৃশ্য সবার মন ভালো করে দিয়েছে।


Share