Extortion Allegation

ভাইরাল ছবি–অডিয়োতে তোলাবাজির অভিযোগ, খড়দহে শোরগোল, অস্বীকার তৃণমূলের

টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে! বিজেপি নেতার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট হওয়া ছবিতে বান্ডিল টাকা নিচ্ছেন বিলকান্দা-১ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী পাপন দাস, পাশে উপপ্রধান প্রবীর দাস। তৃণমূলের দাবি, 'ছবিটি পুরোনো, ব্যক্তিগত লেনদেন'।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা ছবি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, খড়দহ
  • শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:০৫

ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে—এমন কিছু ছবি রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অভিযোগ, টাকাগুলি নিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত বিলকান্দা–১ পঞ্চায়েতের প্রধান রিনা দাসের স্বামী পাপন দাস। পাশে বসে আছেন উপপ্রধান প্রবীর দাস ওরফে বাবাই, যিনি খড়দহ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি।

পোস্ট করা ছবির সঙ্গে সুকান্ত একটি অডিয়ো ক্লিপও প্রকাশ করেন। সেখানে কথিতভাবে শোনা যাচ্ছে, খড়দহের বোদাই শিল্পতালুকের এক কারখানা মালিকের কাছে স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য মাসিক আদায়ের দাবি তুলছেন। অভিযোগ, উপপ্রধান প্রবীর নাকি কারখানা-পিছু মাসে দু’হাজার টাকা চেয়েছেন। প্রায় ৪০০টি ছোট-বড় কারখানা থাকা ওই এলাকায় শিল্পপতিদের একাংশ এই দাবিতে ক্ষুব্ধ বলেই দাবি বিজেপির।

ঘটনা সামনে আসতেই খড়দহ জুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাপন দাসের দাবি, 'ছবিটি বছর তিনেকের পুরোনো। তখন আমার স্ত্রী প্রধান ছিলেন না। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারের একটি প্রোজেক্টে আমার জেসিবি মেশিন ভাড়ায় খাটানো, রাস্তা তৈরি, মিস্ত্রি লাগানোর কাজ করেছি। সেই সূত্রে বকেয়া টাকা আমি আনতে গিয়েছিলাম ওই প্রোজেক্টের মালিকের কাছে। কোন তারিখে কত টাকা নিয়েছি তার সমস্ত নথিপত্র আমার কাছে আছে।'

উপপ্রধান প্রবীর দাসও অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ‘ছবিতে আমাকে কোথাও টাকা নিতে দেখা যায়নি। আমি ওই প্রোজেক্টের মালিকের কাছে এলাকার একটি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সাহায্যের দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। কোনও কারখানা মালিক যদি বলে থাকেন আমি কারও থেকে এক টাকা নিয়েছি তাহলে দল যা শাস্তি দেবে মাথা পেতে নেব।’


Share