Congress party in disarray ahead of Bihar elections

নির্বাচনের আগে বিহারে কংগ্রেস দলে বিশৃঙ্খলা, টিকিট বণ্টনে বৈষম্যের অভিযোগ, একমাত্র বিধায়ককেও বাদ!

ক্ষুব্ধ নেতারা বলেছেন, দলের ভেতরে একটি ‘স্লিপার সেল’ ষড়যন্ত্র চলছে, যা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সত্য পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। পটনায় হাজারখানেক দলীয় কর্মী বিক্ষোভ করেছেন।‘টিকিট চোর, গদ্দি ছোড়’-এর মতো স্লোগান তুলেছেন। এই বিদ্রোহ মহাজোটের ঐক্যকে বিপন্ন করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।

বিহার কংগ্রেসের রিসার্চ কমিটির সদ‍্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান আনন্দ মাধব।
নিজস্ব সংবাদদাতা, পটনা
  • শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ০২:১৬

বিহার বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, কংগ্রেস দলের অন্দরে ততই ব্যাপক বিদ্রোহের সূত্রপাত হচ্ছে।

দলের সিনিয়র নেতা তথা রাজ‍্যের গবেষণা কমিটির চেয়ারম্যান আনন্দ মাধব সকল দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি রাহুল গাঁধীকে লেখা একটি চিঠিতে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কাছে বিহারে কংগ্রেসের ইনচার্জ কৃষ্ণ আল্লাভারু এবং রাজ্য সভাপতি রাজেশকুমার রামের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছেন।

মাধব অভিযোগ করেন, “টিকিট বণ্টনে কোনও স্বচ্ছতা নেই। সম্প্রতি যোগদানকারী বহিরাগতদের টিকিট দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে পরিশ্রমী প্রবীণদের বাদ দেওয়া হয়েছে।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “প্রায় ৩৩,০০০ ভোটে হেরে যাওয়া ব্যক্তি কেন টিকিট পেলেন, কিন্তু ১১৩ ভোটে হেরে যাওয়া ব্যক্তি কেন পেলেন না?"

এ ছাড়াও, কংগ্রেসের একমাত্র যাদব বিধায়ক ছত্রপতি যাদবকে টিকিট বঞ্চিত করা হয়েছে, যা সমগ্র যাদব সম্প্রদায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। ছত্রপতি অভিযোগ করেন, “রাজ্য সভাপতি রাজেশ রাম এবং দলের নেতা শাকিল আহমেদ খানকে ভয় দেখিয়ে নিজের পক্ষে নিয়ে এসেছিলেন আল্লাভারু।” 

দলের প্রাক্তন বিধায়ক গজানন শাহিও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি মাত্র ১১৩ ভোটে হেরেছেন, তবুও তাঁকে ফের সুযোগ দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অন্য দিকে, যাঁরা বেশি ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে দাবি গজাননের।

ক্ষুব্ধ নেতারা বলেছেন, দলের ভেতরে একটি ‘স্লিপার সেল’ ষড়যন্ত্র চলছে, যা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সত্য পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। পটনায় হাজারখানেক দলীয় কর্মী বিক্ষোভ করেছেন।‘টিকিট চোর, গদ্দি ছোড়’-এর মতো স্লোগান তুলেছেন। এই বিদ্রোহ মহাজোটের ঐক্যকে বিপন্ন করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবি, কংগ্রেস হাইকমান্ডকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে হবে, অন্যথায় বিহার নির্বাচনে দলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হতে পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই পটনা বিমানবন্দরে কংগ্রেসের প্রদেশ ইনচার্জ এবং রাজ্য সভাপতির ওপরে হামলার ভিডিয়ো সমাজমাধ‍্যমে ভাইরাল হয়। তারপর গোষ্ঠী কোন্দল আরও তীব্র হয়েছে।


Share