Christmas Kolkata Early

শিল্প সম্মেলনের ছায়ায় আগেভাগে ক্রিসমাসের আলো; ১৮ ডিসেম্বর থেকেই কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল, উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতায় ১৮ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন করবেন। ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোকসজ্জা ও থিমভিত্তিক আয়োজন, শিল্প সম্মেলনের কারণে উদ্বোধন আগেভাগে করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:০২

শিল্প সম্মেলনের ব্যস্ত সূচির মধ্যেই এ বছর কিছুটা আগেভাগেই শুরু হচ্ছে কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন থেকেই ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অ্যালেন পার্ককে কেন্দ্র করে চলবে ক্রিসমাসের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সঙ্গীত পরিবেশনা, থিমভিত্তিক আয়োজন ও আলোর সাজ।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর শহরে পর পর দু’দিন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কর্মসূচি থাকায় এ বছর উৎসবের সূচনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এমএসএমই মিট। পরদিন, ১৮ ডিসেম্বর আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে সরকারের উদ্যোগে বসছে বিজনেস কনক্লেভ। এই দুই কর্মসূচিতে অংশ নিতে শহরে আসছেন দেশ-বিদেশের শিল্পপতি, বিনিয়োগকারী ও বণিকমহলের প্রতিনিধিরা।

প্রশাসন সূত্রের দাবি, সাধারণত ২০ ডিসেম্বরের পর বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধন হলেও শিল্প সম্মেলনের গুরুত্ব মাথায় রেখেই এ বছর তা এগিয়ে আনা হয়েছে। বিজনেস কনক্লেভের অনুষ্ঠান শেষ করেই মুখ্যমন্ত্রী পার্ক স্ট্রিটে গিয়ে ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালের সূচনা করবেন।

শিল্প সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এ বছর আলোকসজ্জার দিকেও বিশেষ নজর দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পার্ক স্ট্রিটের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরেও চলছে জোরদার আলোর সাজ। ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত আলিপুর এলাকায় ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে সম্মেলন হওয়ায় ওই অঞ্চলকেও বিশেষ ভাবে আলোকিত করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আলোকসজ্জার জন্য কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

নবান্নের একাংশ আধিকারিকের মতে, লিয়োনেল মেসির আগমন ঘিরে সম্প্রতি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তা শহরের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষা নিয়ে শিল্প সম্মেলন ও বড়দিনের উৎসব ঘিরে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য সরকার। দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে যাতে কোনও নেতিবাচক বার্তা না যায়, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ বছর পরিকল্পিত প্রস্তুতির ছবি স্পষ্ট।