Election Commission of India

নির্দেশ মতো চার রাজ্য সরকারি আধিকারিক সাসপেন্ড হয়নি, বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব নির্বাচন কমিশনের

ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে চার রাজ্য সরকারি আধিকারিকে নিলম্বিত করে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তা নিয়ে সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায় রাজ্য সরকার।

নির্বাচন কমিশনে তলব মুখ‍্যসচিবকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা

শেষ আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২৫ ০৩:৩২

ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে চার রাজ্য সরকারি আধিকারিকে নিলম্বিত করে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তা করা হয়নি। এ বার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তলব করা হল রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজকুমার পন্থকে। বুধবার বিকেলে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, আগামীকাল বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তলব করা হয়েছে। কেন কমিশনের নির্দেশ সময় মতো রাজ‍্য বাস্তবায়িত করেনি তা ওই দিন মুখ‍্যসচিবের থেকেই জানতে চাইতে পারে কমিশন। অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রাজ্য কেন অভ‍্যন্তরীণ তদন্ত করছে, এটাও জানতে চাইতে পারে কমিশন। বুধবার বিকেল পাঁচটায় তাঁকে সেখানে আসতে বলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, তিনি কমিশনের তলবে সারা দিয়েছেন মনোজকুমার পন্থ। সকালেই তিনি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।

গত ৫ অগস্ট রাজ‍্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্র ময়না এবং বারুইপুর পূর্বে ভোটার তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে চার সরকারি আধিকারিককে নিলম্বিত করে এফআইআর করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে কি না তা নিয়ে ফের ৮ অগস্ট চিঠি দেওয়া হয়। ৭২ ঘন্টা সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। সেই মতো গতকাল সোমবার রাজ‍্যের তরফে মুখ‍্যসচিব কৌশলগতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেয় যে ময়নার এইআরও এবং বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে।

সোমবার রাজ‍্য নির্বাচন কমিশনকে এ-ও জানায় চার সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভ‍্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হলে বাকি আধিকারিকেরা যারা ‘নিষ্ঠা’র সঙ্গে কাজ করছেন তাঁদের মনোবল নষ্ট হতে পারে। প্রসঙ্গত, কমিশনের নির্দেশ মেনে যে কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব‍্যব্যস্থা নেওয়া হবে না তা ঝাড়গ্রামের সভা থেকে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কথায় কমিশন এই কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন না করার জন্যই মুখ‍্যসচিব মনোজকুমার পন্থকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছে আইন বিশেষজ্ঞরা। এক আইনজীবীর কথায়, জাতীয় নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাদের নির্দেশ মানতে বাধ্য যে কোনও রাজ্য সরকার। না হলে কঠোর পদক্ষেপ করতেই পারে তারা।