কসবায় একটি ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ৭০ বছরের বৃদ্ধের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম সরজিৎ ভট্টাচার্য। তার স্ত্রী গার্গী ভট্টাচার্য এবং আয়ুষ্মান ভট্টাচার্যকেও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গার্গী এবং আয়ুষ্মান ভট্টাচার্যের শরীরে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট।?
আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ স্থানীয়েরা কসবা থানায় খবর দেন। স্থানীয়দের জানান, কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের রাজডাঙা গোল্ড পার্ক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের তিন তলার বাসিন্দারা সকাল থেকে দরজা খোলেননি। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা গিয়ে দেখেন, ফ্ল্যাটের কোলাপসিপল গেট ভিতর থেকে তালাবন্ধ রয়েছে। গেটের পিছনে কাঠের দরজাটিও ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। বার বার ডাকা সত্ত্বেও কেউ সাড়া দেননি বলে পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। এর পর পুলিশ দরজা ভেঙে ফ্যাটের ভিতরে প্রবেশ করে দেখে, ডাইনিং হলে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে সরজিতের দেহ। একই ফ্ল্যাটের অন্য একটি ঘরের ভিতরে আরও দু’জনের ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তারা সরজিতের স্ত্রী গার্গী ভট্টাচার্য (৬৮) এবং পুত্র আয়ুষ্মান ভট্টাচার্য (৩৫)। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাতে তারা লিখেছেন, ‘আমরা নিজের ইচ্ছায় পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি।’?
মৃত তিন জনই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বাসিন্দা। সরজিৎ পেশায় জমির দালালি করতেন। তারা কসবার ওই ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আয়ুষ্মান শারীরিকভাবে অক্ষম ছিলেন। লালবাজারের তরফে জানা গিয়েছে, গার্গী এবং আয়ুস্মানের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, তিন জনই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। ঘটনাস্থলে এসে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলের পর্যবেক্ষণ করেছেন। মা-পুত্রের শরীরের ক্ষতচিহ্ন তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। তিন জনে একই সঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি দু’জনকে খুন করে কোনও এক জন আত্মঘাতী হয়েছেন, তা-ও পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে। আগামীকাল ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।?