বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন (জেএমবি)-এর সঙ্গে সরাসরি যোগ আদালতে প্রমাণিত হল। বৃহস্পতিবার এনআইএ আদালত নাজিউর রহমান পাভেলকে ছ’বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাস ছড়ানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের বিচার এখনও চলছে। এ ছাড়াও আদালত তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে।
২০২১ সালের জুলাই মাসে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ প্রথম এই মামলাটি দায়ের করে। অভিযোগ, শেখ শাব্বির, জোসেফ এবং অন্যান্যরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। তারা যে আদতে বাংলাদেশের নাগরিক তা-ও অভিযোগ করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট-এর ১৪এ(বি) এবং ভারতীয় পাসপোর্ট আইনের ১২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
২০২১ সালের আগস্টে এনআইএ তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্তে নেমে এনআইএ নাজিউর রহমান পাভেল, রবিউল ইসলাম-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। তারা জানতে পারেন নাজিউর রহমান পাভেল এই দেশে হিন্দু নাম ব্যবহার করত। এনআইএ জানিয়েছে, জেএমবি জঙ্গি নাজিউর জয়রাম ব্যাপারী এবং জোসেফ পরিচয়ে জেএমবি-র সদস্যদের অজ্ঞাত সহযোগীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ভারতে অশান্তি ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। এনআইএ এটাও জানিয়েছে যে তাদের উদ্যেশ্যে ছিল ভারত এবং বাংলাদেশের মুসলিম যুবকদের প্রভাবিত করে নিয়োগ করা এবং তাদের প্ররোচিত করে ভারতের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা। তার পর ‘খিলাফত’ শাসনের প্রতিষ্ঠা করা। সেই উদ্দেশ্যেই নাজিউর রহমান পাভেল-সহ অন্যান্যরা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগের পরিকল্পনা করেছিল।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এনআইএ বিশেষ আদালতে মূল চার্জশিট দাখিল করে। পাঁচ অভিযুক্তই বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে। প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত রবিউল ইসলামকে ২০২৪ সালের নভেম্বরে আদালত পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। এনআইএ জানিয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে ইউএ(পি)-এর ১৮ ও ৩৮ ধারা অনুযায়ী নাজিউর রহমান দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। বাকি তিন অভিযুক্তের বিচার এখনও চলছে।