Kalighat Murder

কালীঘাটে সোনার দোকানের কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, বাদ ছেলেও, পলাতক অভিযুক্ত

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সৌমেন ঘরা। কালীঘাটের একটি দোকানে সাইনবোর্ড ভাঙা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তার মধ্যেই তৃতীয় এক ব্যক্তি ঢুকে পড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে।

পালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত পিকলু, ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।
এখন কলকাতা ডেস্ক
কলকাতা -নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:১৩ জুন ২০২৫ ১০:৪৩

কালীঘাটে শুক্রবার ভরদুপুরে প্রকাশ্যে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সৌমেন ঘরা (৩৫)। কালীঘাটের একটি দোকানে সাইনবোর্ড ভাঙা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। সেই বচসার মধ্যে তৃতীয় এক ব্যক্তি ঢুকে পড়ে। ওই তৃতীয় ব্যক্তি হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।? 

জানা গিয়েছে, সৌমেন ঘড়া কালীঘাটের ১৯, বেণীনন্দন স্ট্রিটে একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। তিনি হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা। আজ, শুক্রবার দুপুরে ওই দোকানে সংস্কারের কাজ চলছিল। একটি মালবাহী গাড়ি রাবিশ নিতে আসে। তা তুলে বেণীনন্দন স্ট্রিট ধরে হরিশ চ্যাটার্জি রোডে ওঠার আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী সন্দীপ আগারওয়ালের দোকানে ধাক্কা মারে। তাতে দোকানের একাংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। চিৎকার শুনে সোনার দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন সৌমেন। সেই নিয়ে দুই দোকানের কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই সময় স্থানীয় যুবক অশেষ সরকার ওরফে পিকলু ঘটনাস্থলে এসে চোটপাট করতে থাকেন। পিকলুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সৌমেন। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎ ছুরি বের করে সৌমেনের বুকে, পেটে, ঘাড়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন। সৌমেন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।? 

এই ঘটনা দেখে ছুটে আসে অভিযুক্ত পিকলুর কিশোর ছেলে অঙ্কুর সরকার। সে পিকলুকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, ছেলকেও কোপায় পিকলু।স্থানীয়েরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে সৌমেনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয়েরা ছুটে এলে অভিযুক্ত যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আহত সৌমেন ও অঙ্কুরকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাওড়ার বাসিন্দা সৌমেনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন অঙ্কুর সরকার।পিকলুর বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ করেছে স্থানীয়েরা। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।? 


Share    

হাইলাইটস