RG Kar Case

আরজি কর দুর্নীতি মামলায় নাটকীয় মোড়, হাজিরা এড়ালেন আখতার আলি, আগাম জামিন চেয়ে দ্বারস্থ আদালতের

‘হুইসেল ব্লোয়ার’ থেকে অভিযুক্ত আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সিবিআই সমন সত্ত্বেও আদালতে অনুপস্থিত আখতার আলি। অসুস্থতার দাবি, আগাম জামিনের আবেদন। ২৩ ডিসেম্বর হাজিরার নির্দেশ আদালতের।

আখতার আলি
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ০২:১৪

সমন জারি হলেও মঙ্গলবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিলেন না আখতার আলি। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, আখতার অসুস্থ থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। পাশাপাশি, আরজি কর মেডিকেল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগাম জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

আরজি কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন আখতারই। সেই কারণে তাঁকে ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। তবে পরে মামলার অতিরিক্ত চার্জশিটে সিবিআই দাবি করে, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতিতে আখতার নিজেও জড়িত। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতেই আদালত আখতারকে সমন পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

মঙ্গলবার আদালতে আখতারের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, যাঁকে প্রথমে ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ বলা হয়েছিল, তিনি এখন নিজেই অভিযুক্ত। অথচ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অন্যরা প্রায় এক বছর ধরে জেলে রয়েছেন। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে দ্বিচারিতার অভিযোগও তোলা হয়। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত আখতারকে আগামী ২৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এই মামলার অতিরিক্ত চার্জশিটে আখতারের পাশাপাশি শশীকান্ত চন্দক নামে আরও এক জনের নাম রয়েছে। আদালত তাঁকে ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছে।

উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০২৩ সালে রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই হাসপাতালের তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। পরে তাঁকে আরজি কর থেকে বদলি করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কিছু দিন ডেপুটি সুপার হিসেবে কাজ করার পর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তাঁকে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে বদলি করা হয়।

সেখানে দায়িত্ব পালনের মাঝেই তিনি ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা জানিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দেন বলে জানা যায়। যদিও সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তার পরিবর্তে সম্প্রতি তাঁকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই আখতারের বিরুদ্ধেই আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই।


Share