শহরে ফের আক্রান্ত পুলিশ। গতকাল গভীর রাতে একবালপুরে এক অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ধস্তাধস্তি হল। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তের অনুগামীরা থানার তদন্তকারী অফিসারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। অভিযুক্তকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। কোনও রকমে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
ধৃতের নাম ইউসুফ খান। সম্প্রতি একবালপুরে একটি সোনার দোকানের মালিকের থেকে দু’লক্ষ্য টাকা তোলা চাওয়া হয়। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, না দিলে ইউসুফ দোকান মেরামতির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হুমকি দেয়। ভয় পেয়ে তিনি টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও ইউসুফ দলবল নিয়ে দোকানের সামনে আসে। এসে আরও দশ লক্ষ টাকা দাবি করে। ইউসুফের চাহিদা মেটাতে অস্বীকার করলে ওই সোনা ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং পরে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
গত বুধবার ওই সোনা ব্যবসায়ী একবালপুর থানায় ইউসুফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে একবালপুর থানার পুলিশ। গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ এক সাব ইনস্পেক্টর বাহীনি নিয়ে ইউসুফের বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ ইউসুফের ঠিকানায় পৌঁছাতেই বাড়ির বাইরে ভিড় জমতে শুরু করে। পুলিশের অভিযোগ, ইউসুফ দলবল জুটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তারাই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এর পরে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে হেনস্থাও করা হয় বলে অভিযোগ। কোনও মতে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায় একবালপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এ দিনের ঘটনার পরেই পুলিশ ইউসুফ খান, আদনান, ফয়জান ওরফে জেরি এবং সোয়েবের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশকে বাধাদান এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। ইউসুফ খান এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী এবং শাসকদল ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয়েরা দাবি করছেন।
ইতিমধ্যেই একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ফুটেজে (এখন কলকাতা এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ইউসুফকে গ্রেফতার করে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া সময় কয়েক জন যুবকক পুলিশকর্মীদের পথ আটকাচ্ছেন। অভিযুক্তকে ধরে চলছে টানাটানি। জানা গিয়েছে, ইউসুফকে গ্রেফতার করা গেলেও বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
Share
