Malda Migrant Worker

পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু করল জেলা প্রশাসন

রাজ্যে কাজ নেই, নেই কর্মসংস্থান। বাধ্য হয়ে মালদা জেলা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন ভিনরাজ্যের উদ্দেশে। কিন্তু জেলার কত মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করেন তার কোনও সঠিক সরকারি হিসেব বা তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে।

মালদা পরিযায়ী শ্রমিক
মালদা
  • শেষ আপডেট:০৯ জুন ২০২৫ ০৪:২৬

রাজ্যে কাজ নেই, নেই কর্মসংস্থান। বাধ্য হয়ে মালদা জেলা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন ভিনরাজ্যের উদ্দেশে। কিন্তু জেলার কত মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করেন তার কোনও সঠিক সরকারি হিসেব বা তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনগুলির‌ দাবি, মালদা জেলায় ১০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে। যা জেলার জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ। অথচ কর্মসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে তালিকায় নথিভুক্তের সংখ্যা মাত্র ২ লক্ষ ৮০ হাজার।তাই এবার বাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করতে ইদ উৎসবকে হাতিয়ার করল জেলা প্রশাসন। কারণ, এই উৎসবের সময় অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরে এসেছেন। কিছুদিন থাকার পর আবার তাঁরা কাজে ফিরে যাবেন। তাই ৯ জুন থেকে জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। ওই কাজ চলবে ২২ জুন পর্যন্ত। জেলার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করা হবে।? 

এই নাম নথিভুক্ত হলে জেলার যেসব পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত হন তাঁদের ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগসুবিধা পাওয়া সম্ভব হয়।আইএনটিটিইউসি’র জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল বলেন, ‘জেলার ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪০০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে। কর্মসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ফের বাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।’প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসাথী প্রকল্পে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর আপলোড করার সময় বেশ কিছু নথি লাগে। নথিগুলির মধ্যে রয়েছে দু’কপি পাসপোর্ট সাইজের ফোটো, আধার কার্ডের ফোটোকপি, ব্যাংকের পাসবুকের প্রথম পাতার ফোটোকপি, খাদ্যসাথী প্রকল্প কার্ডের ফোটোকপি, পরিবারের সদস্যদের মোবাইল নম্বর। আর যদি কোনও শ্রমিক দেশের বাইরে কাজ করতে যান, তবে পাসপোর্টের ফোটোকপি জমা দিতে হবে।? 

সিটুর মালদা জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা দাবি করে বলেন, ‘আমরা জেলা শাসকের কাছে প্রস্তাব রেখেছিলাম এই সময় প্রায় বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক বাড়িতে আসেন। তাই প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য ক্যাম্প করা হোক। জেলা শাসক আমাদের এই দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা খুশি।’ তাঁর সংযোজন, অধিকাংশ সময় দেখা যায় কর্মসাথী প্রকল্পের অ্যাপটি বন্ধ। তাই অনেক পরিযায়ী শ্রমিক শত চেষ্টা করেও তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে পারছেন না।’রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত ২০৬টি পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার কর্মসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এরমধ্যে ১২৬ জন মালদা জেলার। এছাড়া দুর্ঘটনা আহত হয়ে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন ৪৫ জন।? 


Share    

হাইলাইটস