খোদ পুলিশই অপহরনকারী। এমনই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির শ্রীরামপুর থানার অন্তর্গত বৈদ্যবাটিতে। অভিযোগ, চায়ের দোকান থেকে এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। তার পর থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান নিশ্চিত করে শ্রীরামপুর থানা এক সহকারী সাব ইনস্পেক্টরকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম অশোক দাস। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।?
অপহৃত ব্যক্তির নাম তারক ভৌমিক। তারক ভৌমিক শ্রীরামপুর থানার বৈদ্যবাটির পদ্মাবতী কলোনীর বাসিন্দা। তাঁর পিয়ারাপুরে দিল্লী রোডের পাশে চায়ের দোকান রয়েছে। অভিযোগ, গতকাল সোমবার ভোরবেলা রোজের মতোই দোকান খুলেছিলেন। সেই সময় একটি গাড়ি তাঁর দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। তিনি খদ্দের ভেবে গাড়ির সামনে গেলেই আচমকা কয়েক জন গাড়ি থেকে নেমে তাঁকে বলপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। এর পরই বাড়িতে একটি ফোন আসে। পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে একটি ফোন আসে। তাতে ফোনের ওপারে থাকা এক ব্যক্তি ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাতে আবারও ফোন করে একই টাকা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার পর পরিবার শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।?
ঘটনার তদন্তে শুরু করে পুলিশ। যে নম্বরে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয় সেই নম্বরের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান চিহ্নিত করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের টাওয়ারের অবস্থান মেলে শেওড়াফুলি স্টেশনে। সেখান থেকেই অশোক দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত অশোক দাস চন্দননগর আদালতে সহকারী সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। অশোকের বাড়িও শেওড়াফুলির রাজার বাগান এলাকায়। সেখান থেকেই অপহৃত বৃদ্ধ তারক ভৌমিকে হাত বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।?
জানা গিয়েছে,অপহৃত বৃদ্ধ তারক ভৌমিকের ছেলে কিছু দিন আগে মাদক মামলায় এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয়। এ দিন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, “ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে।” পুলিশি হেফাজত চেয়ে আজ ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে।?