Shantipur Murder

শান্তিপুরে স্ত্রীকে আঁশবটি দিয়ে কুপিয়ে খুন, ধড় থেকে মাথা আলাদা করে গ্রেফতার স্বামী

জানা গিয়েছে আইপিএল খেলা চলাকালীন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা জুয়ায় হেরে গিয়েছিলেন। তার জেরে ঘরে অশান্তি লেগে থাকত। ধৃতের নাম বুদ্ধদেব সরকার।


ধৃত স্বামীর নাম বুদ্ধদেব সরকার।
এখন কলকাতা ডেস্ক।
শান্তিপুর -নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০০

ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর ধর থেকে মাথা আলাদা করে দিল স্বামী। তার পরই থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল অভিযুক্ত স্বামী। ধৃতের নাম বুদ্ধদেব সরকার। মৃতের নাম শ্রাবণী সরকার। অভিযোগ, আর্থিক কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। খবর সামনে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়ানাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।? 

আজ, মঙ্গলবার রাতে নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুটোপুটি তলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত বুদ্ধদেবের জলের ব্যবসা ছিল। জানা গিয়েছে, আইপিএলের খেলা চলাকালীন বুদ্ধদেব ১৪-১৫ লক্ষ টাকা জুয়া খেলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে পরিবার আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। ফলে প্রতিদিন দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। অভিযোগ, স্বামী বুদ্ধদেব সরকার তার স্ত্রী শ্রাবণী সরকারকে আঁশবটি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। তার পর আঁশবটি দিয়ে ধর-মুন্ডু আলাদা করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত বুদ্ধদেব সরকার। পুলিশ বুদ্ধদেবকে গ্রেফতার করেছে।? 

এ দিন বুদ্ধদেবের মেয়ে জলি সরকারের বলেন, “বাবা প্রায় মায়ের সাথে অশান্তি করত। এছাড়াও আইপিএল খেলা-সহ বিভিন্ন ‘গেম’ খেলাই আসক্ত হয়ে পড়েছিল বাবা। ১৪-১৫ লক্ষ টাকা জুয়ায় উড়িয়ে দিয়েছিল। সেই নিয়ে প্রতিবাদ করত আমার মা।”? 

ঘটনার বিবরণে তার মেয়ে জলি জানান, “মঙ্গলবার রাত্রি ৮টা নাগাদ আমি টিউশন সেরে বাড়ি ফিরি। তখন দেখি, ঘরে জোড়ে গান চলছে। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। দরজা খুললেই দেখি ঘরের মধ্যে মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পাশে ছিল আঁশবটি। খাটের নিচে ধর-মুন্ডু আলাদা ভাবে পড়ে রয়েছে।”? 

এর পরেই শুরু হয় চিৎকার। মেয়ের চিৎকারে স্থানীয়েরা ছুটে আসেন। পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুদ্ধদেবের মেয়ে জলি বাবার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন, “এখন একটাই দাবি, মাকে যেভাবে খুন করেছে বাবা, তার যাতে ফাঁসি হয় সেই ব্যবস্থা করুক পুলিশ”। ঘটনাস্থলে আসেন রানাঘাট পুলিশ জেলার এসডিপিও-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এই খুনের ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে তা জানার চেষ্টা করেন। শুধু কী আর্থিক কারণে এই খুন? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে যদিও করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। গতকাল অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে।? 


Share    

হাইলাইটস